বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান। আজ মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্রয়কৃত স্যালাইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
স্যালাইন প্রদান শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের কর্নেল (অবঃ) হারুনুর রশিদ খান বলেন, “বেতাগী আমার জন্মস্থান, আমি এই মাটির সন্তান। বরগুনা জেলায় বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার নিজস্ব উদ্যোগে এই স্যালাইনগুলো দিচ্ছি। এটি হয়তো বড় কিছু নয়, তবে আমি বিশ্বাস করি সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।”
হারুণ অর রশিদ আরো বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সরকার বা হাসপাতাল নয়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজেদের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আশেপাশে পানি জমে থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসবই ডেঙ্গুর বিস্তারে সহায়ক। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই নিজ নিজ এলাকায় সচেতনতা তৈরি করতে হবে।”
স্যালাইন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার বেতাগী উপজেলা প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান ডাবলু, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান অভিসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারিবৃন্দ।
চিকিৎসক মোবাশ্বের বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে রোগীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন তা পূরণে সহায়ক হয়। এই মুহূর্তে স্যালাইনের চাহিদা অনেক বেশি, তাই এমন সহযোগিতা নিঃসন্দেহে হাসপাতালের জন্য কার্যকর ও সময়োপযোগী।
অনুষ্ঠান শেষ কর্নেল (অব:) হারুন অর রশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
ডেঙ্গুর মতো ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ধরণের ব্যতিক্রমী সামাজিক উদ্যোগ এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কর্নেল হারুন অর রশিদের এ প্রচেষ্টা বেতাগীর মানুষের হৃদয়ে বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে। সমাজের অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছেও এটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
Posted ৪:৪৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher