পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা দ্বিমূখী উচ্চবিদ্যালয় একটি প্রাচীনতম বিদ্যালয়! ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্টিত হয়ে আজ অবধী সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে! কিন্তু বর্তমান কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় নেই কোন উন্নয়ন,নেই কোন সংস্কার,খেলার মাঠটি আজ গোচারন ভূমী, ময়লা আবর্জনার স্তুপ,খেলার পরিবেশ বিঘ্নিত। অসমাপ্ত বাউন্ডারী প্রাচীর,। বিভিন্ন সময় কমিটি পরিবর্তন হয়েছে, কম বেশি উন্নয়নও হয়েছে। প্রায় ৭শত ছাত্র/ছাত্রী লেখাপড়া করে, শিক্ষক, কর্মচারীর শুন্যতা নাই। সভাপতিদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে কিছু আলোচনা থাকলেও স্কুলের দুর্দিনে একজন আপোষহীন লৌহমানব আলহাজ্ব মোবারক আলী মন্ডল সভাপতি হিসেবে এসে অনিয়ম, দুর্নীতি দুর করে ২/৩ শুন্য পদে নিয়োগ দিয়ে স্কুলকে সচল করবার পাশাপাশি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশাল অফিসকাম মিলনায়তন নির্মান করে স্মৃতির খাতায় নিজ নাম স্বর্নাক্ষরে লিখে গেছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত আয় কাউকে লোপাট করতে দেননি। সে অর্থ উন্নয়নে ব্যয় করেছেন। তিনি নিজে খাননি অপরকে গ্রাস করতেও দেননি। এছাড়া একজন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে অপসারন করে এলাকায় বিরাট সুনাম অর্জন করেছিলেন, আপোষ ত দুরের কথা, কোন শক্তির কাছে মাথা নোয়াননি। তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে এক নজর দেখার জন্য মানুষ আসত।
অপর দিকে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন, তারুন্যের প্রতীক, স্থানীয় ইউপি সদস্য, আরিফ হোসেন,(পরে নির্বাচিত)বয়সে নবীন হলেও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে বিদ্যালয়ের শুন্যপদ পুরন সহ বেশ কয়টি গুরত্ব পুর্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন, যেমন ৫ লক্ষাধীক টাকা ব্যায়ে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন একটি গেট নির্মান,প্রায় তিন লক্ষাধীক টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের দক্ষিনের প্রাচীর নির্মান, ১০/১২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিদ্যালয়ের একমাত্র আয়ের উৎস পুকুরটি সমপরিমান রেলকর্তৃপক্ষের নিকট থেকে লিজ নিয়ে সম্প্রসারন সহ বিদ্যালয়ের পরিবেশ আমুল পরিবর্তন ঘটান।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও যুব কিশোর সমাজ আজ চরম মর্মাহত, ব্যাথিত ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে, বর্তমান শক্তিশালি একটি কমিটি আছে, তারা সম্প্রতি ৫ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বিশাল অংকের বানিজ্য করলো! কোন উন্নয়ন না করে নিজেদের শুধু আখের গুচিয়েছে। আজ গেটটি ভেঙ্গে ঘরে তুলে রাখা সহ খেলাধুলার মাঠটিও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি। বেতন ভাতা হবে না জেনেও লাইব্রেরীয়ানকে ১৬ বছর থেকে স্কুলের তহবিল থেকে সন্মানি দিয়ে আসছে। এ গুলো দেখার যেন কেউ নেই। বাগজানা দ্বীমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এর যারা কিছু অবাদান রেখে গেছেন! তাদের স্মরন করা হয় না কেন।
এ বিষয়ে বাগজানা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ দিনরাত’কে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা সভাপতি বলতে পারবে।
এ বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্বায়সাড়া বক্তব্য দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করে।
Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher