শুক্রবার ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

মাদারীপুর ডিসি অফিসের কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মোঃ জসীম মিয়া, মাদারীপুর প্রতিবেদক   শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩
129 বার পঠিত
মাদারীপুর ডিসি অফিসের কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মাদারীপুরে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী মিজানুর রহমান ফকিরের (৫৩) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ফকির জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকুরী করছেন। তিনি মাদারীপুর পৌরসভার পাঠককান্দি এলাকার কিনাই ফকিরের ছেলে।

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তার প্রাপ্ত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেন দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস। প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পাঠানো হয়। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর নোটিশ পর্যালোচনা করেন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান। দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মিজানুর রহমান ফকির দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁর দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ২৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪৬২ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপন করেছেন এবং ৩০ লক্ষ ১২ হাজার ৩৫৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারা ও ২৭(১) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব বিষয়ের কারনে মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে চলতি মাসের ৮ তারিখে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বৃহস্পতিবার সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আখতারুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে মিজানুর রহমান ফকিরের সম্পদ অনুসন্ধান করে দেখা যায় তিনি অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব তথ্য ও প্রমাণ হাতে পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হবে।

এদিকে দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান ফকির। তিনি মুঠোফোনে সংবাদ দিনরাত’র প্রতিবেদককে বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। দুদক আমাকে নোটিশ পাঠালে আমি আমার সম্পদের বিবরণী তাদের কাছে জমা দিয়েছিলাম। তারপর কি হয়েছে বলতে পারিনা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসকের মুখপাত্র ও মাদারীপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, মিজানুর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে দুদকের দায়ের করা মামলায় তিনি আইনগতভাবে অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তদন্তে নামে দুদক। অনুসন্ধানে জানা যায়,মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরির সময়ই মিজানের ভাগ্যোন্নয়ন শুরু হয়। মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে পরিবহন ব্যবসায়ও তিনি যুক্ত রয়েছেন। মাদারীপুরে তাঁর একাধিক ট্রাক এবং শরীয়তপুরে একাধিক গাড়ি রয়েছে। মাদারীপুর শহরেই তার ৪টি বাড়ি রয়েছে। মাদারীপুর শহরের পাঠককান্দি এলাকায় তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ির বড় একটি অংশ ভাড়া দেওয়া। ১৪ শতাংশ জমির ওপর বাড়িটি গড়ে তোলা হয়েছে। শহরের স্টেডিয়ামের পেছনেও বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। জমিসহ বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। শহরের থানতলী এলাকায়ও একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে তাঁর ছোট ভাই থাকেন। বাকি ঘরগুলো ভাড়া দেওয়া। মাদারীপুর শহরের ইউআই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ১০ শতাংশ জমিতে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে।

Facebook Comments Box

Posted ৪:১১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩

Sangbad Dinrat |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

উপদেষ্টা সম্পাদক
শহিদুল ইসলাম সাগর
চেয়ারম্যান, বিটিইএ

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক
এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ

বার্তা, ফিচার ও বিজ্ঞাপন:
+৮৮০ ১৯ ৭০ ৯১ ১৮ ৪৫
ইমেইল: sangbaddinrat@gmail.com

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত।
error: Content is protected !!