গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পাওয়ার জেরে ছাত্রদল নেতার ছুরিকাঘাতে বিএনপি ও জামায়াতের ৯ নেতাকর্মীসহ ১৩ জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন আশিক সরকার (২৫)। সে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের প্রধানপাড়া এলাকার আশরাফুল আলমের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলেন – শিবপুর ইউনিয়নের শ্রীমুখ কেশবপুর (ফতুপাড়া) গ্রামের মালেকের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৭), শ্রীমুখ পাঠানপাড়া গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়া (২০), দক্ষিণ শোলাগাড়ি গ্রামের সুমন মেম্বার (৩৭), ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বামনকুড়ি (কইপাড়া) গ্রামের কানু দাসের ছেলে গোবিন্দ কুমার (৩৪), পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া (জাঙ্গালপাড়া) গ্রামের আবু তাহের প্রামাণিকের ছেলে হারুন প্রামাণিক (৩৫)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর রাত পৌনে নয়টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা মোড়ে উল্লেখিত আসামিগণ ফুল মিয়ার দোকানে গিয়ে সিগারেট না পেরে গন্ডগোল করে। তখন মামলার বাদী আশিক সরকারসহ রাশেদ নিজাম রোমেল, জালাল, রিয়ন, সোহেল, সালাম, রাফিদ, মাহির, রেজাউল, সাঈদী ঘটনার খবর পেয়ে ফুল মিয়াকে উদ্ধার গেলে আসামিদের মারপিটে সবাই আহত হয়। মারপিট থামাইতে গেলে চারমাথা মোড়ে তালুকদার মার্কেটের সামনে বিএনপির নেতৃবৃন্দ অবস্থান কালে আসামিরা মিলে পরস্পরের যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো ছোরা ও বার্মিজ চাকু নিয়ে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। সুমন মেম্বারের হুকুমে নাঈম ও মারুফ মিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এভাবে পর্যায়ক্রমে নাঈম ও মারুফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীদের বার্মিজ চাকু দিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় সুমন, গোবিন্দ ও হারুন মিলে নাঈম ও মারুফকে সহযোগিতা করে। পরে গোবিন্দ ও হারুন মিলে আশিকের প্যান্টের দুই পকেটে থাকা ৪৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক বাহির করে নেয়। ঘটনার সময় পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করে তারা জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মারুফ মিয়া জনতার হাতে ধৃত হয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শেষে আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে ছালাম ও রাফিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী আশিক সরকার বলেন, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।
মামলার বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আশিক সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ২৭, তারিখঃ ২১/১১/২০২৪ ইং। মামলার অন্যতম আসামি মারুফ মিয়াকে ঘটনার দিন গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Posted ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher