শনিবার ১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

গনতন্ত্রের শাসন; হত্যার রাজনীতি, লাশের মিছিল

স দি ডেস্ক   শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
157 বার পঠিত
গনতন্ত্রের শাসন; হত্যার রাজনীতি, লাশের মিছিল

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ২২ বছরে (১৯৯১-২০১৩) প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার ৫১৯ জন মানুষ। আর একই সময়ে কম-বেশি আহত হয়েছেন দেড় লাখ মানুষ।

এর মধ্যে ১৯৯১ সালে ১৮ জন, ১৯৯২ সালে ৪৫, ১৯৯৩ সালে ২০, ১৯৯৪ সালে ২৪, ১৯৯৫ সালে ২৯, ১৯৯৬ সালে ৪৯, ১৯৯৭ সালে ৬৯ এবং ১৯৯৮ সালে ৩১ জন, ১৯৯৯ সালে ২৩৩ জন, ২০০০ সালে ২০৮জন, ২০০১ সালে ৫০০জন, ২০০২ সালে ৩১০জন, ২০০৩ সালে ২০৩জন, ২০০৪ সালে ৫২জন, ২০০৫ সালে ৩৪জন, ২০০৬ সালে ১২০জন, ২০০৭ সালে ৭জন, ২০০৮ সালে ৪জন, ২০০৯ সালে ৪২জন, ২০১০ সালে ৭৬জন, ২০১১ সালে ৫৮জন, ২০১২ সালে ৮৪ জন, ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৩০৪ জন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আদিলুর রহমানের মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিকার বলছে, শুধু ২০০১ সাল থেকে ২০১৩-এর আগস্ট পর্যন্ত সময়েই (১২ বছরে) রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার ৯২৬ জন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ২১১ জন। এর মধ্যে ২০০১ সালেই মারা গেছেন ৬৫৬ জন।

এবার আসেন ১৯৯১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কারা দেশ শাসন করেছে-
১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল বিএনপি সরকার (সমর্থনে জামাত), ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল আওয়ামী লীগ সরকার (সমর্থনে জামাত), ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি জামাত জোট সরকার (সমর্থনে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট), ২০০৭ – ২০০৮ সাল ইয়াজউদ্দিন + ফখরুদ্দীন সরকার (সমর্থনে সেনাবাহিনী), ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দ্বলীয় জোট সরকার।

প্রশ্ন হচ্ছে- ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে যে গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও সাম্যের সমাজ বিনির্মান স্বপ্ন দেখেছিলো জনমানুষ তা কি ১৯৯১-২০১৩ এই ২২ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাত জাতীয় পার্টি সহ ক্ষমতার হালুয়া রুচি খাওয়া রাজনৈতিক দল গুলো পুরন করেছিলো? এই ২২ বছরের শাসনে রাজনৈতিক সহিংসতায় হত্যাকান্ডের জন্য কি বিএনপি জামাত জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোট এদেশের জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়েছে? চায়নি।

দেশের একজন নিরপেক্ষ নাগরিক হিসেবে আমি যখন দেখি বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি জন-গনতান্ত্রিক নয়া স্বাধীনতার কথা বলে শুধু ১৯৫২, ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের নিহতের সংখ্যা, ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাসন, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু, ১৯৭২ এর সংবিধান ও ৪ঠা নভেম্বর সংবিধান দিবস, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে সকল অপরাধ শুধুই আওয়ামী, ছাত্রলীগের উপর চাপিয়ে নিজেদের নিজেদের মহা গনতন্ত্রকামী মুক্তির দুত দাবী করে তখনি প্রতিবাদে কথা মুখে চলে আসে বলতে নাই চাইলেও।

২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের আজকে পর্যন্ত হিসাব যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামাতসহ ডান-বাম সকল রাজনৈতিক দল, এনজিও প্রতিনিধি সরকারের উপদেষ্টারা বলতেছে প্রতি মুহুর্তে তাই সেই হিসাব জনগন প্রতি মুহুর্তে পাচ্ছে বলে আমি দিলাম না।

আমার চেষ্টা আসলে যেগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাচ্চাদের হিসাবে নাই অথবা আবেগী জনগন ভুলে গেছে সেটুকু উপস্থাপন করে মনে করিয়ে দেওয়ার ছিলো।

অবশ্যই এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে বিশ্বজিৎ, আবরার, আবু সাইদ, মুগ্ধসহ ২০২৪ এর গণআন্দোলনে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের জন্যই চোখের কোনে পানি আসে, খারাপ লাগে।

যেহেতু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ভিত্তিক ট্রেড পলিটিক্স করি সেহেতু পর্যটন শিল্প উন্নয়নের প্রয়োজনে যখন যে সরকার ক্ষমতা থাকে তাদের সাথে নানাভাবে সুসম্পর্ক রেখেই আমাদের দাবী তুলতে হয়। আমরা চাইলেও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো হরতাল অবরোধ করে জালাও পোড়াও এ যেতে পারিনা।

শহিদুল ইসলাম সাগর
চেয়ারম্যান, বিটিইএ

Facebook Comments Box

Posted ৯:০৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

Sangbad Dinrat |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  

উপদেষ্টা সম্পাদক
শহিদুল ইসলাম সাগর
চেয়ারম্যান, বিটিইএ

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক
এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ

বার্তা, ফিচার ও বিজ্ঞাপন:
+৮৮০ ১৯ ৭০ ৯১ ১৮ ৪৫
ইমেইল: sangbaddinrat@gmail.com

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত।
error: Content is protected !!