আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুদকের ডাকে কার্যালয়ে হাজির হন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবীরা।
আজ সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট থেকে ১০টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত তাকে সংস্থাটির পরিচালক বেনজির আহমেদের নেতৃত্ব একটি টিম জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি।
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। আইনজীবী আব্দুল আল মামুন শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে করা বলে দাবি করেন।
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বুধবার (৪ অক্টোবর) গ্রামীণ টেলিকমের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গত ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন আসামিকে তলব করে দুদক।
গত ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
Posted ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher