ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনে রেজিস্ট্রারের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের মনোনীত দোসর বসে আছে। রেজিস্ট্রার ছাড়াও এখনো প্রশাসনের অনেক জায়গায় আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লোক বসে আছে। প্রশাসনের কোনো পদে যেন আওয়ামী দোসররা স্থান না পায় আমরা এ বিষয়ে সোচ্চার থাকবো।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে প্রশাসন ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ’র সাথে মতবিনিময় শেষে এ কথা বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়করা।
বিগত আওয়ামী শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও স্বৈরাচারের দোসরদের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে উপাচার্যের সাথে মতবিনিময় করেন তারা।
এসময় তারা আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা খুব দ্রুতই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। আমরা বলেছি যে আমাদের যে বিভিন্ন ফাঁকা পোস্ট আছে সেখানে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তি নিয়োগ দেয়া হোক। আমরা সেখানে বলেছি অতীতে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, রাকিবুল ইসলাম ও সাজ্জাতুল্লাহ শেখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যদি তারা কোন দাবি নিয়ে আসে আর সেটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক হয় তাহলে অবশ্যই সে ব্যাপারে আমরা বিবেচনা করবো। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশ সৃষ্টিতে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও অবদান রেখেছে। তাদের সাথেও আলোচনা করবো। আর যেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন ধারার একটি আন্দোলনকারী দল এবং তারা এই বাংলাদেশের পরিবর্তন সাধন করেছে সেহেতু আমরা অবশ্যই তাদেরকে মূল্যায়ন করবো।
Posted ১০:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher