বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় মসজিদে ওয়াজ, বিভিন্ন প্রোগ্রামে গান আর এলইডি টেলিভিশন উদ্বোধন করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আপনারা যদি এসব উল্টাপাল্টা কাজ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত সংস্কারের দিকে নজর না দেন তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় প্রশাসন ভবনের সামনে ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ, নতুন বাস ক্রয়, দক্ষ চালক নিয়োগ এবং কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ এসকল কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, গনঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেই প্রশাসনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৬ মাস পার হলেও সেই প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যকর সংস্কার করেননি। আমরা বলতে চাই আজকে যে দূর্ঘটনা ঘটেছে তার কারন হচ্ছে প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকা। আজকে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুল কারণ প্রশাসনের দুই দায়িত্বে একই ব্যাক্তি থাকা।প্রশাসনিক দায়িত্বের এসব সংকটসমূহ দ্রুত দূর করতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট’এর নেতৃত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ সমম্বক নাহিদ হোসেন, তানভীর মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, ইয়াশিরুল কবীর শৌরভ, হাসানুল বান্না অলিসহ অর্ধশতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী।
সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং মহাসড়ক নিয়ে আন্দোলন আজকে আমাদের প্রথম নয়। এই আন্দোলন ২০১৯/২০২০ সালে যখন আমরা নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলন করি। আন্দোলন এর ফল হিসেবে আমরা সেসময় তাৎক্ষণিকভাবে দুই চারদিনের ভিতরে ইবি ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া মহাসড়কের সংস্কার দেখতে পাই। আমরা পরবর্তী সময়ে এসে দেখলাম এটি কিন্তু টেকসই সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। অল্প সময়ে রাস্তা সংস্কারের পরে আবার কিছু দিন যাওয়ার পরে সেটি ভেঙে যায়। আমার প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী ভাই বোনদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া হয়। এটি যেমন সড়কের দোষ আছে তার পাশাপাশি ভাড়াকৃত বাস গুলো ফিটনেস বিহীন এবং অদক্ষ চালক।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকসহ সব জায়গায় দলীয়ভাবে অযোগ্য লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে । আজকের ঘটনাটি আরও মর্মান্তিক হতে পারতো যারা আহত হয়েছে তারা নিহত হতে পারত। আগামী দিনে যাতে কেউ আহত না হয় সেখান থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি এর স্থায়ী সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছি ।আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর স্থায়ী সমাধান চাই । এর সমাধান বিভিন্নভাবে হতে পারে সমস্ত বাস গুলোকে তদারকি করতে হবে।প্রত্যেকদিন না হলেও দুই দিন পর পর পরিবহণ অফিস থেকে তদারকি করতে হবে। আমরা জানি যে একবছরে বাস ভাড়া বাবদ কয়েকশ কোটি টাকা চলে যায় আমরা সে টাকা যদি মিনিমাইজ করি তাহলে ভাড়া বাস গুলোর ক্ষতিকারক দিক গুলো কমে আসবে । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় দক্ষ প্রশাসত চাই । আমরা অনতিবিলম্বে পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
উল্লেখ্য; আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থীবাহী ভাড়ায় চালিত একটি বাস বিত্তিপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল, ইবি চিকিৎসা কেন্দ্র ও বাজার সংলগ্ন ডিনপেনসারিগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
Posted ২:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sangbad Dinrat | Editor & Publisher